সোমবার, ৩০ Jun ২০২৫, ০১:০৮ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

শ্বশুরকে গুলি করে হত্যা, জামাইসহ ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড

বিশেষ প্রতিবেদক:

কক্সবাজার শহরে ২৩ বছর আগে ‘ডাকাতি করতে গিয়ে’ প্রবাসী শ্বশুরকে হত্যার ঘটনায় দায়ের মামলায় জামাইসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত; এছাড়া একজনকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ এবং নির্দোষ প্রমানিত হওয়ায় নয়জনকে বেখসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোশারফ হোসেনের আদালত এ রায় দেন বলে জানান আদালতটির অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) শওকত বেলাল।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামিরা হলেন, কক্সবাজার শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের টেকনাফ্যা পাহাড় এলাকার মো. হাছানের ছেলে মজ্ঞুর হোসেন, মৃত মো. কাছিম ওরফে বলীজুরীর ছেলের মো. আলম ও আমির হোসেনের ছেলে আকতার কামাল, পাহাড়তলী এলাকার মো. সৈয়দের ছেলে শহর মুলুক ওরফে কালু ও আব্দুর শুক্কুরের ছেলে মো. মোস্তাক, দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া এলাকার এখালাস মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরফে কালুইন্যা, সাহিত্যিকা পল্লী এলাকার গুরা মিয়ার ছেলে শাহাব উদ্দিন এবং শহরের উত্তর রুমালিয়ারছড়া এলাকায় বসবাসকারি ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে জসিম উদ্দিন।

এছাড়া ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি হলেন, কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া এলাকার বাসিন্দা এখালাস মিয়া।

হত্যার শিকার মোহাম্মদ হোসেন কক্সবাজার শহরের বাঁচামিয়ার ঘোনার বাসিন্দা। তিনি সৌদি প্রবাসী ছিলেন।

মামলার নথির বরাতে শওকত বেলাল বলেন, ‘২০২০ সালের ১৩ জুন সৌদি প্রবাসী মোহাম্মদ হোসেন দেশে আসেন। এর দুইদিন পর ১৫ জুন রাতে তার জামাতা মজ্ঞুর হোসেনের নেতৃত্ব একদল দূর্বৃত্ত বাড়ী দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে লুটপাত চালায়। এতে বাঁধা দিলে দূর্বৃত্তরা মোহাম্মদ হোসেনকে মাথার পিছনে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় ২০২০ সালের ১৭ জুন নিহতের স্ত্রী ছবুরা খাতুন বাদী হয়ে ১৮ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর গত ২০০৫ সালের ২৩ মে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আদালতে চার্জশীট প্রদান করেন। পরে গত ২০০৬ সালের ২৫ এপ্রিল আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন।’

রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। এতে দোষী প্রমানিত হওয়ায় ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড, প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ এবং অনাদায়ে ২ বছর করে সাজার রায় দেন। এছাড়া অপর এক আসামিকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার রায়ও দেন বিচারক।’

বিচারে নির্দোষ প্রমানিত হওয়ায় মামলার ৯ জন আসামিকে আদালত মুক্তির আদেশ দিয়েছেন বলে জানান শওকত বেলাল।

এপিপি জানান, রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের পাশাপাশি খালাস পাওয়াদের মধ্যে ৫ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION